দিনে রিকশাচালক, রাতে ডাকাত। দিনে রিকশা চালানোর পাশাপাশি পর্যবেক্ষণ করত কোথায় কোথায় নির্মাণাধীন বাড়ির কাজ চলছে।
গভীর রাতে টার্গেট অনুযায়ী নির্মাণাধীন বিল্ডিংয়ের নিরাপত্তারক্ষীর হাত-পা বেঁধে জিম্মি করে রডসহ নির্মাণসামগ্রী লুট করাই ছিল তাদের মূল পেশা। এমন একটি সঙ্ঘবদ্ধ ডাকাত দলের ১২ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার সকালে ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আমিনুল ইসলাম দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।
তিনি জানান, গত ৪ আগস্ট গভীর রাতে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের বসুন্ধরা রিভার ভিউ এলাকায় জনৈক এসএম অছিউর রহমানের নির্মাণাধীন বাড়িতে ঢুকে কেয়ারটেকার মাহবুব ও নির্মাণশ্রমিক গাজিউর রহমানকে বেঁধে ৩.৫ টন লোহার রড ট্রাকে তুলে পালিয়ে যায়।
একইভাবে এপ্রিল মাসে সাইফুল ইসলামের নির্মাণাধীন ভবনের কেয়ারটেকারের হাত-পা বেঁধে ৫ টন রড ডাকাতি হয়। এছাড়াও কেরানীগঞ্জ মডেল থানার মধুসিটি এলাকার নির্মাণাধীন একটি বাড়ি থেকে ৬ টন রড চুরি হয়। এসব ঘটনায় দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় দুটি ডাকাতির মামলা ও কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় একটি চুরির মামলা হয়। তদন্তে নেমে উপজেলার চুনকুটিয়া এলাকা থেকে প্রথমে ডাকাত সর্দার মফিজকে গ্রেফতার করা হয়।
তার দেওয়া তথ্যে ইমন ও রাসেলকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর ইমন ও রাসেলের দেওয়া তথ্যমতে ঢাকার খিলগাঁও, নারায়ণগঞ্জ ও কেরানীগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে চক্রটির আরও ৯ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত ২টি ট্রাক ও লুন্ঠিত ৫ টন রড উদ্ধার করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- কেরানীগঞ্জ সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহাব উদ্দিন কবির, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ শাহ জামান, কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ওসি মামুনুর রশিদ মামুন।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।